#%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF

Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-09-24

পুরানো কলকাতার পতিতাপল্লী

বস্তুতঃ সেই যুগ শেষ হয়ে গিয়েছে যে যুগের মানুষেরা পতিতাদের #ঘৃণা করতেন। এমনকি নারীদের মধ্যে যাঁরা #নাট্যশিল্পী ছিলেন, তাঁদেরও তাঁরা বিরূপ দৃষ্টিতে দেখতেন। #ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বঙ্গদেশের রঙ্গালয়ের প্রথম অবস্থায় ভদ্রপরিবারের মহিলারা থিয়েটার দেখতে যেতেন না, যেহেতু তাতে বারাঙ্গনারা অভিনয়ে অংশগ্রহণ করতেন। ‘গিরিশচন্দ্র ঘোষ’ই ভদ্রপরিবারের মহিলাদের মন থেকে সেই সঙ্কোচটা দূর করেছিলেন। তিনি থিয়েটারের দ্বিতলে

‘চিক’-এর আড়ালে মহিলাদের জন্য #স্বতন্ত্র আসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সময়ের সমাজ ও সমাজপতিদের কাছে পতিতারা ঘৃণিত জীব নয়। বর্তমান সমাজে তাঁরাও মর্যাদাসম্পন্ন এক শ্রেণী। তাঁরাও ‘মায়ের জাত’, তবে ‘পদস্খলিতা’ মাত্র। তাঁরাও তো সমাজের একটা অভাব পূরণ করেন। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারা যাবে যে এক শ্রেণীর নারীরা যদি সেই পথে না যেতেন, তাহলে সমাজে কি বিশৃঙ্খলাই না প্রকাশ পেত, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, যেখানে আজও পুরুষের অনুপাতে নারীর সংখ্যা বেশ কম। এমনকি বর্তমান সময়ের জনগণনার হিসেবেও সারা ভারতে #পুরুষ ও নারীর অনুপাত সমান নয়। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রাচীন ভারতে কিন্তু বারাঙ্গনাদের অন্য দৃষ্টিতে দেখা হত। রাজসভায় ও উৎসব-অনুষ্ঠানে তাঁদের জন্য মর্যাদামণ্ডিত আসন সংরক্ষণ করা হত।

কলকাতায় পতিতাদের #আগমন ঠিক কবে ঘটেছিল, ঐতিহাসিকদের কাছে সেটা আজও অজানা। তবে এই বিষয়ে সবচেয়ে #প্রাচীন যে নজির পাওয়া যায়, তা হল খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যাহ্নের। সম্ভবতঃ সেই সময় থেকেই কলকাতা শহরে, #পতিতাপল্লী বেশ জাঁকালো ভাবে গড়ে উঠেছিল। কেননা, ১৭৫৯ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তারিখের ‘ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি’র ‘কনসালটেশনস্’ বই থেকে জানা যায় যে, #কোম্পানি - ‘ঈশ্বরী’ ও ‘ভবী’ - নামে দু’জন বারবনিতার মাল নিলামে #বিক্রি করেছিল। তবে ওই তারিখের আগেই যে কলকাতা শহরে #বেশ্যাপল্লী ছিল, সেটা জানা যায়, ‘সিরাজ’ কর্তৃক #কলকাতা আক্রমণের সময় (১৭৫৬) যে সব বিষয় সম্পত্তি নষ্ট হয়েছিল এবং যে সব সম্পত্তির জন্য ‘ #মীরজাফর’ কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন, সেগুলোর নামের তালিকা থেকে। ঐতিহাসিকেরা ক্ষতিপূরণের সেই বণ্টন তালিকায় - ‘রতন’, ‘ললিতা’ ও ‘মতিবেওয়া’ নামে ‘গোবিন্দরাম মিত্রের’ আশ্রিতা #তিনজন গণিকার নাম পেয়েছিলেন। ‘জেমস লঙ’ সাহেব লিখে গিয়েছিলেন যে, ১৭৮০ সাল নাগাদ, #ইউরোপীয় জাহাজসমূহের নাবিকেরা, ‘চিৎপুর’ অঞ্চলের বেশ্যাপল্লীতে আনাগোনা করতেন। পরবর্তীকালে ‘চিৎপুর’ ‘গরাণহাটা’র বেশ্যাপল্লীহ ‘ #সোনাগাজী’ (পরে ‘সোনাগাছি’) নামে #প্রসিদ্ধ হয়েছিল। ‘সোনাগাজী’র উল্লেখ প্রথম পাওয়া যায়, ‘প্যারীচাঁদ মিত্র’ লিখিত ‘আলালের ঘরের দুলাল’ গ্রন্থে। কিন্তু তার অনেক আগের সাহিত্যেও কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘ভবানীচরণ #বন্দ্যোপাধ্যায়’ লিখিত গ্রন্থসমূহে পুরানো কলকাতার বারবনিতাদের উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ‘বেশ্যাপ্রধানা’ ছিলেন - ‘বকনাপিয়ারী’। ‘ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ রচনার অব্যবহিত পরেই ‘কৃষ্ণরাম বসু স্ট্রীটে’ (শ্যামবাজার ট্রাম ডিপোর পেছনে) ‘নবীনচন্দ্র বসু’র বাড়িতে ‘বিদ্যাসুন্দর’ নাটকের অভিনয় হয়েছিল। সেই নাটকে - ‘বিদ্যা’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, ষোড়শবর্ষীয়া ‘রাধামণি’ বা ‘মণি’, ‘রানী’ ও ‘মালিনী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - প্রৌঢ়া ‘জয়দুর্গা’ ও বিদ্যার সহচরীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন - ‘রাজকুমারী’ বা ‘রাজু’। তাঁদের সকলেকেই ‘বরানগরের পতিতাপল্লী’ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বরানগরের প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, অষ্টাদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের কলকাতায়, এক #অবৈধ বণিক বা ‘ইন্টারলোপার’ এসেছিলেন। তাঁর নাম ছিল - ‘আলেকজাণ্ডার #হ্যামিল্টন’। হ্যামিল্টনের #ভ্রমণ-বৃত্তান্ত থেকে জানতে পারা যায় যে, তাঁর সময়ে, বেশ্যাদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য, বরানগরে একটি বিদ্যায়তন বা ‘সেমিনারি’ ছিল।

তবে কলকাতা শহরের মধ্যে ‘সোনাগাজী’ই ছিল সবচেয়ে #প্রসিদ্ধ বেশ্যাপল্লী। অষ্টাদশ শতাব্দীর কলকাতায়, ‘সোনাগাজী’ বলতে - ‘গরাণহাটা’, ‘দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রীট’, ‘মসজিদ বাড়ি স্ট্রীট’, ‘চিৎপুর রোডের ইমামবকস্ খালাতশ লেন’ ইত্যাদি অঞ্চলকেই বোঝাত। এছাড়া, #বেশ্যাপল্লী ছিল ‘রামবাগানের’ ‘মিনার্ভা থিয়েটারের’ আশেপাশেও। আরও বেশ্যাপল্লী ছিল - ‘শোভাবাজারের রাজবাড়ি’র পিছনে ‘ফুলবাগানে’, ‘শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো’র সামনে ও ‘কালাচাঁদ সান্যাল লেনে’, ‘হরলাল মিত্র স্ট্রীটের’ শেষপ্রান্তে ‘বাগবাজারের খালের মুখে’, ‘উল্টোডাঙ্গা’য়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘হাড়কাটা গলি’তে বা ‘প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রীটে’, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের দক্ষিণে ‘ছানাপট্টি’র পিছনের সরু গলিটার ভিতরে, ‘শ্যামবাজারের’ ‘কম্-বলিটোলা’য়, ‘গ্রে স্ট্রীট’ প্রভৃতি জায়গায়৷ তবে তৎকালীন কলকাতায় এমন একটি #বেশ্যাপল্লী ছিল, যেখানে ভারতের সব প্রদেশেরই, বিশেষ করে উড়িষ্যার বেশ্যারাই বাস করতেন। সেটা ছিল - ‘ধুকুরিয়া #বাগান’, ‘জানবাজারের’ রানী রাসমণির বাড়ির কাছে ‘রামহরি মিস্ত্রি লেন’ ও ‘উমা দাস লেনে’। এছাড়া তখনকার কলকাতা শহরের আরও নানা জায়গায় বেশ্যারা ছড়িয়ে ছিলেন, যেমন - ‘বালাখানা’, ‘গৌরীবেড়’, ‘জানবাজার’ ইত্যাদি জায়গায়৷ ‘কালীঘাট’ ও ‘চেতলা’ও বেশ্যাদের পীঠস্থান ছিল। কালীঘাটের বেশ্যাদের কথা প্রথম জানতে পারা যায়, জনৈকা #ইংরেজ মহিলা মিসেস ‘এলিজা ফে’-র বিলাতে এক বান্ধবীর কাছে লিখিত পত্র থেকে।

এখানে অবশ্য উল্লেখ্য যে, সেকালের ‘বটতলা’র সাহিত্য সংস্থাগুলি গড়ে উঠেছিল, সোনাগাছির বেশ্যাপল্লীরই আশেপাশে। এখানে আরও বলা দরকার যে, তৎকালীন কলকাতার রঙ্গালয় ও #অভিনয় কলার প্রথম অধ্যায় রচিত হয়েছিল কলকাতা শহরের বারবণিতাদের নিয়ে। বস্তুতঃ সে যুগের নামজাদা অভিনেত্রীদের মধ্যে যাঁরা যশস্বিনী হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই পতিতাপল্লীর অধিবাসিনী ছিলেন। যথা - ‘ক্ষেত্রমণি’, ‘কাদম্বিনী’, ‘যাদুমণি’, ‘হরিদাসী’, ‘রাজকুমারী’, ‘বিনোদিনী’, ‘নারায়ণী’, ‘তারাসুন্দরী’, ‘আঙুরবালা’, ‘আশ্চর্যময়ী’ প্রমুখ। তাঁদের সকলকেই রূপজীবিকা মহল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। ১৮৮৩ থেকে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তাঁদের অভিনয় দেখে চমকিত হয়েছিলেন ‘রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব’ ও ১৯২২ সালে স্বয়ং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর’। এরপরে বঙ্গীয় রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস থেকে সেই সব রূপজীবিরা অন্তর্হিত হয়েছিলেন #বিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে, যখন ‘শিশিরকুমার ভাদুড়ি’র সঙ্গে নাটকে #অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন শিক্ষিতা মহিলারা।

বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের গোড়ায় ‘লীগ অফ নেশনস্’-এর একটি সমীক্ষা #দল যখন #পতিতাবৃত্তি সম্বন্ধে সরজমিনে #তদন্ত করবার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন, তখন তাঁরা দেখেছিলেন যে, ‘পার্ক সার্কাস’ অঞ্চলে ‘সোভিয়েতদেশীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়ে খুব জাঁকালো রকমের বেশ্যাবৃত্তি চালিয়ে যাচ্ছেন। তখন ‘অ্যাংলো-#ইণ্ডিয়ান’ বারাঙ্গনারা ‘ফ্রী স্কুল ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন, আর ‘ইউরোপীয়’ বারাঙ্গনারা কেন্দ্রীভূত হয়েছিলেন ‘পার্ক ষ্ট্রীট’ অঞ্চলে। ঊনবিংশ শতাব্দীর দুই মহাপুরুষ - ‘শিবনাথ শাস্ত্রী’ ও ‘ #ঈশ্বরচন্দ্র #বিদ্যাসাগর’- পতিতাদের দুর্দশায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়েছিলেন। কথিত আছে যে, #বিদ্যাসাগর একদিন শীতের রাত্রে পথের ধারে কনকনে শীতের মধ্যে বারবনিতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে, চাদরের খুঁট থেকে অনেকগুলো #নোট বের করে তাঁদের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলেছিলেন - “ #মা লক্ষ্মীরা, তোমরা ঠাণ্ডায় দাঁড়িয়ে থেকো না, অসুখ করবে, যাও, ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়।”

(তথ্যসূত্র:

১- History of Prostitution in India, S. N. Sinha & Nripendra Kumer Basu.

২- Prostitution In India, Santosh Kumar Mukerji.

৩- ৩০০ বছরের কলকাতার পটভূমি ও ইতিকথা, ডঃ অতুল সুর।)

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

পুরানো কলকাতার পতিতাপল্লীপুরানো কলকাতার পতিতাপল্লী
Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-05-09

#তাহমিদা #জান্নাত নামের এই মেয়েটা #মারা গেছে ক্যানসারে ।তার ফেসবুক আপডেটগুলো একজন #শেয়ার করেছে। বাস্তবতা কি জিনিস, তা দেখিয়ে দিয়ে গেলো, #মারা যাবার আগে লেখা #স্ট্যাটাস (পড়লে আপনি #চোখের #পানি ধরে রাখতে পারবেন না)-

7--3--2013...

আজ আমার #ক্যান্সার জীবনের সপ্তম দিন। খবরটা #বাবা #মা আমাকে দেয়ার #সাহস করে নাই । সারিন আমাকে জানায় আমার লিউকেমিয়া । কিভাবে নিব ব্যাপারটা বুঝতে পারছিলাম না । আমিতো ক্যানসারকে চাই নাই । তাহলে সে কেন আসলো আমার কাছে । আমিতো অন্য কাউকে চেয়েছিলাম…যাহা #পাই তাহা চাইনা ।

13--7…2013..

#শেষ পর্যন্ত স্কুলে যাওয়াও বন্ধ হল আমার.. । ব্লিডিং বেড়ে যাচ্ছে । কি অদ্ভুত । একসময় জ্বরের #ভান করে পড়ে থাকতাম । আর এখন স্কুলে যাওয়ার জন্য #সুস্থ থাকার অভিনয় করতে হয় । পোয়েটিক জস্টিস । ক্যান্সার মনে হয় একটা মানুষের অতীতের সব খোজ খবর নিয়ে আসে । এই যে একসময় #বৃষ্টি ভালো লাগত না । কিন্তু এখন যেন বৃষ্টিকেই #আপন মনে হয় । রোদ অসহ্য লাগে । রোদ আমাকে আমার অক্ষমতার কথা #মনে করিয়ে দেয় ।

22--9--2013...

#আজ আমার #বন্ধুরা আমাকে দেখতে এসেছিল । ঐশি, মৌমিতা,সানি, রিয়ন । #অনেকদিন পর একটা ভালো সময় কাটালাম । কিন্তু কোথায় যেন সুরটা কেটে গেছে । আমি জানি ওরা আমায় প্রচন্ড ভালোবাসে । সানি আমার চোখের দিকে তাকাচ্ছিল না। লজ্জায় বোধহয় । সম্পর্কটা শেষ হয়েছে প্রায় তিনমাস । আমার #ক্যান্সারের কথা শুনে সানিই আস্তে আস্তে দূরে সরে যায় । আমি জানি ও আর মৌমিতা প্রেম করা শুরু করেছে । খারাপ লেগেছে ওরা আমাকে খোলা মনে ব্যাপারটা জানালেই পারত। সত্যি কথা শোনার অধিকার কি থাকেনা একজন ক্যন্সার রোগীর । সবাই এমন #অভিনয় করে কেন ?

16--1--2014..

অনেকদিন লিখিনি । অনেক #দেরি হয়ে গেছে । রোগটা আমাকে গ্রাস করে ফেলছে । ইদানিং সানিকে খুব মনে পড়ে । ওকে #ফোন দেই ধরেনা । ক্যান্সার তো #ছোঁয়াচে না । তবে কেন এত অবহেলা । আজকাল রিসানের সাথে কথা বলে সময় কাটে আমার। ছেলেটার সাথে আমার ফোনে #পরিচয় । কোন শর্ত ছাড়াই ভালোবাসে আমায় । কিন্তু আমার কিছু করার নেই । একজন ক্যান্সার রোগীর কাউকে ভালোবাসার কিংবা কারো #ভালোবাসা পাওয়ার #অধিকার নেই ।

26--1--2014....

#দ্বিতীয় #কেমো দিয়ে বাসায় আসলাম । চুলের ব্যপারে সবসময় একটু বেশি খুত খুতে ছিলাম আমি । নতুন নতুন ব্র্যান্ডের #শ্যাম্পু কন্ডিশনার কিনতাম । এখন আর ওসবের প্রয়োজন হয়না । চুলই নেই, শ্যাম্পু দিয়ে কি করব । কাজের বুয়াকে বলে ড্রেসিং টেবিলটাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি । আয়নায় তাকাতে ভালো লাগেনা । এদিকে বাবা মার মধ্যে ঝগড়া বেড়েই চলেছে দিন দিন । এই সম্পর্ক বেশিদিন টিকবে না আমি জানি । ওইদিন #মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে দেখি বাবা আমার পায়ের কাছে বসে কাঁদছে । ভালোবাসার বিয়ের এ কি পরিণতি । ভালোবাসার থেকে বোধহয় ক্যান্সারও ভালো…

2--2---2014...

২৬ ঘন্টা পর আমার #জ্ঞান ফিরল । রিসানের সাথে ঝগড়া করলাম অনেকক্ষন । ওর সাথে ঝগড়া করতে আমার ভালো লাগে । ঝগড়া করার কেউ থাকা লাগে জীবনে । না হলে #বেঁচে থাকাটাই বৃথা…

13---3--2014...

গত ৪৮ ঘন্টায় আমায় নিয়ে যমে #ডাক্তারে টানাটানি হয়েছে । আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি #ডাক্তাররা যাতে জিতে । কিন্তু জানি শেষ পর্যন্ত জয়টা ক্যান্সারের হবে । লিখার #শক্তি পাচ্ছিনা… সানিকে অনেক মিস করছি । যদিও মিস করাটা #উচিত না । #ক্যান্সার রোগীদের কাউকে মিস করার অধিকার নেই…

25---5---2014...

এই লিখাটাই বোধহয় আমার শেষ লেখা হতে যাচ্ছে । শেষ শক্তিটুকু জমিয়ে লিখাটা লিখছি । আমার রেখে যাওয়া জিনিসের মধ্যে #ডায়রিটা রিসানের ভাগে পড়েছে । ছেলেটার মধ্যে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর #ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা আছে । ও অনেক ভালো থাকুক । লিখতে লিখতে চোখের কোণে #জল জমে একফোটা । এই জলটা কার জন্য । জানিনা । খুব মিস করব । বাবা মাকে, আমার ছোট্ট বোনটাকে । বন্ধুদের মিস তো করবই । সানি ভালো থাকুক । স্কুলের সামনে যে মামাটা আচার #বিক্রি করত, তাকেও অনেক মিস করব অনেক । আচ্ছা স্বর্গে কি আঁচার বিক্রি হয় । মনে হয় না । আরেকটা দিন বেঁচে থাকার শখ ছিল । আফসোস । যাহা চাই তাহা পাইনা ।

অবশেষে মে মাসের ২৭ তারিখে তার যুদ্ধটা শেষ হয।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

তাহমিদা জান্নাত নামের এই মেয়েটা মারা গেছে ক্যানসারে ।তার ফেসবুক আপডেটগুলো একজন শেয়ার করেছে।

Client Info

Server: https://mastodon.social
Version: 2025.07
Repository: https://github.com/cyevgeniy/lmst