#%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE

Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-09-27

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল কেন?

আমার ব্যাক্তিগত গবেষণায় যা বলে তা হচ্ছে —

১৯৬০-এর দশক থেকেই শেখ #মুজিব এবং তার চ্যালারা #সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিল। আর, যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করেছে ভারত।

ছয় #দফা থেকে শুরু করে ১৯৭১ পরবর্তী মুজিবের সকল রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে সোভিয়েতপন্থী চিন্তাধারার ব্যাপক ছাপ পাওয়া যায়।

যেমনঃ

কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের নাম "পিপলস রিপাবলিক" রাখা

কম্যুনিস্ট স্টাইলে — এক পার্টির শাসন কায়েম করা

কম্যুনিস্ট স্টাইলে — দেশের প্রায় সকল কল-কারখানা এবং ব্যাংককে জাতীয়করণ করা

নারোদনে ওপলচিনিয়ে (Narodnoe Opolcheniye) স্টাইলে — জাতীয় রক্ষী বাহিনী নামক মিলিশিয়া বাহিনী তৈরি

সুপ্রীম সোভিয়েত (Supreme Soviet) স্টাইলে — সংসদের আইন প্রণয়ন ক্ষমতা বাতিল করে উপদেষ্টার মর্যাদা দেয়া

#শেখ জামালকে #মিলিটারী ট্রেনিং এর জন্য কম্যুনিস্ট দেশ যুগোস্লাভিয়ায় পাঠানো
… ইত্যাদি।

আমার ধারণা, এই সবের মাধ্যমে মুজিব হয় ধীরে ধীরে কম্যুনিস্ট শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, অথবা, #সাদ্দাম হোসেনের বাথ পার্টির মতো এক পার্টির শাসন চালু করে আজীবন প্রেসিডেন্ট হতে চাচ্ছিলেন।

১৯৭৫ সালের মার্চের ১৫-১৮ তারিখে তার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ সফর করার কথা ছিল। সম্ভবতঃ, এ সময় তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে ছিলেন।

যদি তাই হয় তাহলে মুজিবকে হত্যা করার ব্যাপারে CIA (Central Intelligence Agency, USA)-এর সরাসরি হাত ছিল। আর এই কাজ করার জন্য তারা ভাড়া করেছিল খন্দকার মোশতাক সহ কিছু আর্মি অফিসারকে।

---------------------------------------

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ইতিহাস বিশারদ এবং #বুদ্ধিজীবী ডঃ আহমদ শরীফ-এর লেখা আমার এই তত্ত্বকে সমর্থন করে।

ডঃ আহমদ শরীফ, আহমদ শরীফের ডায়েরি: ভাব-বুদ্বুদ, পৃষ্ঠাঃ ১৯৯-২০০)

শেখ #মুজিব বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা এবং জাতির পিতার পরিচিতি নিয়ে ১০ই জানুয়ারী ১৯৭২ সনে ঢাকায় আসেন ।

শেখ মুজিব কিন্তু তাঁর দলের লোকদের নিয়ন্ত্রণে ও শাসনে অনুগত রাখতে পারলেন না। তাঁর রক্ষীবাহিনীর, তাঁর অনুচর, সহচর, সহযোগীর লুণ্ঠনে, পীড়ন নির্যাতনে, অত্যাচারে, শাসনে- শোষণে দেশে দেখা দিলো দুর্ভিক্ষ, মরল লক্ষাধিক মানুষ।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সনের আগস্ট মাস অবধি মুজিব শাসন হচ্ছে ত্রাসের হত্যার কাড়ার-মারার, জোর-জুলুমের, স্বৈরাচারের, দুর্ভিক্ষের, পীড়ণের, শোষণের, জবরদখল ও জবরদস্তির হৃৎকাঁপানো বীভৎস রূপের।

সম্ভবত শেখ মনিই ভাবিশত্রু তাজউদ্দীনকে মুজিবের প্রতিদন্ডী বলে মুজিবের কান-মন ভারী করে তাঁকে পদচ্যুত করিয়েছিলো। রাজত্বটাও প্রায় পারিবারিক হয়ে উঠেছিলো- সৈয়দ হোসেন, সারনিয়াবাদ, শেখ মনি, কামাল- জামাল তখন সর্বশক্তির আধার কার্যত

এ সুযোগে উচ্চাশী মুশতাক ও অন্যরা হলো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অস্থিরচিত্ত ও অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক নীতি আদর্শেও হলেও অস্থির। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতে তাঁর মুক্তিযোদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি উচ্চাশী ক্ষুদ্র দল তাঁকে সপরিবার পরিজনে হত্যা করলো।

মুজিবকে যারা হত্যা করলো, তারা গোড়ায় সবাই মুজিবের অনুগতই ছিল।

শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের দুঃশাসন কিন্তু হত্যা-লুণ্ঠনের বিভীষিকা মুজিবকে গণশত্রুতে পরিণত করেছিলো। মার্কিন #যুক্তরাষ্ট্র তার #আন্তর্জাতিক
রাজনীতির স্বার্থে সে সুযোগে তাকে #হত্যা করায় সপরিবার।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

আলোকচিত্রঃ মস্কো, ৩ মার্চ ১৯৭২ — সোভিয়েত নেতা ব্রেঝনেভের সঙ্গে শেখ মুজিব।বুদ্ধিজীবী ডঃ আহমদ শরীফ
Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-09-25

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে পালঘর #রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) এক #কনস্টেবল তিন জন #মুসলিম সম্প্রদায়ের যুবককে #গুলি করে #হত্যা করেছে।

এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি #ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় #হত্যাকারী #চেতন #সিং মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে বলছে, “যদি ভারতে থাকতে হয়, যদি ভোট দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদি ও যোগিকে দিতে হবে।”

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে নিখিল ভারত মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, “বিজেপি নেতারা মুসলিমদের লক্ষ্য করে যেসব ঘৃণামূলক বক্তব্য দেয় এটি তারই ফলাফল।”
Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-09-23

গভীর #দুঃখ নিয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এক #বীর #হিন্দু #মুক্তিযোদ্ধা

এই তরুণ মুক্তিযোদ্ধার নাম #জহর #সেন। বাড়ি #সিলেট, ছবির লোকেশন #কুষ্টিয়া তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া অঞ্চলে প্রথমে #যুদ্ধ করেন, পরে হবিগঞ্জের বাহুবলে। এখন তিনি থাকেন ভারতের আসামের করিমগঞ্জে। তিনি একাই ১৭ জন #পাকসেনা ও দুই #আলবদর মেরেছিলেন। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন তার বোন #ধর্ষিতা হয়েছে, তাঁর বাবা মাকে #হত্যা করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধার #সনদ নিতে যাননি। পরে দেশে নিরাপদ বোধ না করায় ১৯৯০ সালে এ ভারত চলে যান। শুধু নিরাপত্তার অভাবে একজন বীর #মুক্তিযোদ্ধা নিজের হাতে #স্বাধীন করা দেশে থাকতে পারেননি, এ বেদনার, লজ্জার।

#সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের জন্য শঙ্কিত হয়ে— #অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য অস্ত্র হাতে রণাঙ্গণে লড়াই করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নব্বইয়ে #দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে— এরচেয়ে বড় বেদনার ও লজ্জার কিছু নেই। পরিচিত লোকেরা বলে তিনি বর্ডারের কাছেই নদীর পাড়ে বাড়ি করেছেন। আর ঘরের জানালায় বসে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকেন।

(তথ্যসূত্র: মুহাম্মদ #আতাউল #গণি ওসমানীর পিএস সালেকউদ্দিনের লেখা বই ‘সিলেটে মুক্তিযুদ্ধ’। এছাড়া দেবদুলাল মুন্না নিজেও ওনার সাথে ৮৮ সালে দেখা করেন। 'প্রিয় প্রজন্ম' ম্যাগাজিনে সেটার একটা ইন্টারভিউ ছাপা হয়েছিল।) একাত্তরের এপ্রিলে কুষ্টিয়ায় তোলা ছবি এটি।

ছবি: অ্যান ডি হেনিং

#সংগৃহীত

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

গভীর দুঃখ নিয়ে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া এক বীর হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা।
Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-06-07

#বৃটিশ লুটপাটের ছোট্ট একটু ধারণা...

ভারতের সাবেক মন্ত্রী, #রাজনীতিবিদ, জাতিসংঘের সাবেক কূটনৈতিক এবং লেখক শশী থারুর ‘এন এরা অব ডার্কনেস (২০১৬)’ নামে একটি বই লিখেছেন। বইখানা পরে #ব্রিটেন থেকে ‘ইনগ্লোরিয়াস এম্পায়ার—হোয়াট দি ব্রিটিশ ডিড টু #ইন্ডিয়া (২০১৭)’ নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর মতে, ভারতবর্ষ শাসনকালে ব্রিটিশরা যা করেছিল তা রীতিমতো দানবীয় অপরাধ। ব্রিটিশরা আসার আগে এখানকার অর্থনীতির আয়তন বিশ্ব অর্থনীতির মোট ২৩ শতাংশ ছিল। ব্রিটিশরা এখান থেকে যাওয়ার সময় যার পরিমাণ ৪ শতাংশে নেমে এসেছিল। ব্রিটিশরা ভারতে আসার আগে বিশ্বের বস্ত্রশিল্পের মোট ২৭ শতাংশ #রপ্তানি হতো ভারত থেকে, যা ব্রিটিশ শাসনের সময়কালে ২ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। ব্রিটিশ শাসন আমলে তাদের নীতি প্ররোচিত #দুর্ভিক্ষে প্রায় ১৫ থেকে ২৯ মিলিয়ন ভারতীয় মারা গেছেন।

শশী থারুর আরও লিখেছেন, ব্রিটিশরা উপমহাদেশে রেলের প্রচলন করেছিল তাদের লাভের জন্য। ভারতের লাভের জন্য নয়। ১৮৪৩ সালে গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ এবং পরে ১৮৫৩ সালে লর্ড ডালহৌসি এই যুক্তি দেখান যে #ভারতবর্ষকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারলে ভারতে ব্রিটিশ পণ্যের প্রবেশ ও বাজারজাত সহজ হবে। সেই সঙ্গে ভারতবর্ষ থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করে ব্রিটেনের শিল্পকারখানাগুলোতে পাঠানো যাবে। এই রেললাইন নির্মাণেও ছিল চুরি ও লুণ্ঠন। বার্ষিক ৫ শতাংশ নিশ্চিত লাভে রেললাইন তৈরির প্রকল্পে টাকা খাটিয়ে ব্রিটিশ মুনাফাখোর ব্যবসায়ীরা প্রচুর অর্থের মালিক হন। সেই সময় ভারতে প্রতি মাইল #রেললাইন নির্মাণে খরচ হয়েছিল ১৮ হাজার পাউন্ড। অথচ আমেরিকাতে তখন প্রতি মাইল নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২ হাজার পাউন্ড।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া #ইউনিভার্সিটি থেকে গত বছর প্রকাশিত ভারতীয় অর্থনীতিবিদ উষা পাটনায়েকের গবেষণায় দেখা যায় যে ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা আত্মসাৎ করেছে প্রায় ৭৫ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এই অর্থ পাচার হয়েছিল বাণিজ্যের আড়ালে। অর্থের এই অঙ্ক বর্তমানে ব্রিটেনের মোট জিডিপির ১৭ গুণ বেশি। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয়দের মাথাপিছু আয় বাড়েনি বরং কমে গিয়েছিল। ১৮৭০ থেকে ১৯২০ সালের মধ্যে ভারতীয়দের গড় আয়ুকাল কমে গিয়েছিল এক–পঞ্চমাংশ।

তারা যখন শোষণের কারণে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে তখন খুবই নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। লাখ লাখ মানুষ #হত্যা করেছে। আসলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল নিজ দেশ ব্রিটেনকে সমৃদ্ধ করার জন্য। কোনো মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়। তাই #উপনিবেশ দেশগুলোকে লুণ্ঠন, অত্যাচার, বর্ণবাদ, দাসপ্রথা, নিপীড়ন, শোষণ, #লোভী ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ী, ব্যক্তিগত লোভ–লালসা, জাতিগত বিভেদ এসব অনেক কিছুই মোকাবিলা করতে হয়েছে।

আবার শশী থারুরের কথায় ফিরে আসি। তিনি মনে করেন, ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য তাদের (ব্রিটেন) #ভারত উপমহাদেশকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। তিনি মূলত কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা বলেননি। তাঁর দাবি, ব্রিটেনের উচিত তার অতীতের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাওয়া। তিনি এটাও মনে করেন, বর্তমান ব্রিটেন তার অতীতের কৃতকর্মের জন্য দায়ী নয়। তাই তাঁর মতে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি বর্তমান ব্রিটেন নীতিগতভাবে মেনে নিলেই যথেষ্ট।

সাম্রাজ্যবাদের জন্য ব্রিটেনের এই ক্ষমা চাওয়ার দাবি অনেক পুরোনো। কিন্তু ব্রিটেন বরাবরই তা উপেক্ষা করে এসেছে। ২০১৩ সালে ব্রিটিশ #প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অমৃতসার গণহত্যার স্থান পরিদর্শনকালে ব্রিটিশদের হুকুমে হাজারো ভারতীয় হত্যার বিষয়টিকে তিনি লজ্জাজনক ঘটনা বলে অভিহিত করলেও #ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

চ্যান্সেলর থাকাকালে আরেক সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছিলেন, ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দরকার নেই। বরং ব্রিটেনের উচিত স্বাধীনতা এবং সহনশীলতার বিষয়ে ব্রিটিশ মূল্যবোধের বিষয়টিকে প্রচার করা। আবার অনেকেই বলেন #স্থান, কাল ও পাত্রভেদে সব সাম্রাজ্যবাদের ধরন একই। ব্রিটিশরাও ৪০০ বছর রোমান দ্বারা শাসিত হয়েছে। তাই বলে তারা রোমানদের কাছে এই রকম কিছু দাবি করেনি।

রাশিয়ান #লেখক লিও তলস্তয় একবার মাহাত্মা গান্ধীকে দেওয়া একটি চিঠিতে আমাদের এই উপমহাদেশে ব্রিটিশ উপনিবেশ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, তিনি ভেবে অবাক হন যে কীভাবে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে এসে লুটপাট আর শোষণে জড়িয়ে গেল। তিনি আরও লিখেছিলেন, এটি হয়তো সম্ভব হয়েছে মানবতার মধ্যে নিহিত ভালোবাসাকে সম্পূর্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম না করার কারণে। হয়তো বিষয়টি সেটাই। খোদ ব্রিটেনের #তৎকালীন সাধারণ জনগণ বা এখনকার সাধারণ জনগণ উপনিবেশবাদের সঠিক ইতিহাস জানলে বিষয়টি হয়তো সানন্দে গ্রহণ করবে না।

(-২১ সালে প্রকাশিত একটি আর্টিকেল হতে সংগৃহীত।)

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-05-18

#নটরডেম #কলেজ ঢাকার রসায়নের শিক্ষক সঞ্জিত কুমার গুহ। ১৬ #ডিসেম্বর এর আগের দিন ক্লাসে সবাই খুশি কারণ এর পর দিন বন্ধ….তো গুহ স্যার বললেন,"তোমরা সবাই খুশি কালকে কলেজ বন্ধ তাই না?তোমাদের একটা ঘটনা বলি।#মুক্তিযুদ্ধে তো অনেক মেয়ে ধর্ষিত হয়েছিলো তাই না?আমার খুব কাছের একজনকে #পাকিস্তান সেনারা #ধর্ষণ করে ও মেয়েটি এর পরেরদিন আত্মহত্যা করে মারা যায়।জানো মেয়েটি কে?মেয়েটি আমার বোন আমার নিজের #বোন।আমি আমার বোনের চেয়ে অপূর্ব মেয়ে জীবনে কোনোদিন দেখিনি।সেই থেকে আমার পরিবার কোনোদিন ১৬ ই ডিসেম্বর পালন করিনি।বাদ দেও এসব কথা এই যে লাস্ট বেঞ্চ মিডেল ম্যান বলো সোডিয়াম ক্লোরাইড এর কেপি কেসির মান কতো,কুইক।"

একটি #দেশের প্রশিক্ষিত #সেনাবাহিনী কিভাবে সবার সামনে ধর্ষণ করে, তাও আবার দল বেধে?

তোর হাতে একটা #পিস্তল থাকলে তুইও করতি।

পাকিস্তানিগো ধর্ষণে বাধা দিতে গেলেই গুলি কইরা খুন।

আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের কাছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতম কর্মকাণ্ডের কথা শুনি👇

১। স্বাধীনতার পর ধর্ষিতা #বাঙালী মহিলাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত অস্ট্রেলীয় ডাক্তার জেফ্রি ডেভিস গণ-ধর্ষণের ভয়াবহ মাত্রা দেখে হতবাক হয়ে #কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাক অফিসারকে জেরা করেছিলেন যে তারা কিভাবে এমন ঘৃণ্য কাজ-কারবার করেছিলো। অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক বিচলিত হলেও পাক অফিসারদের সাচ্চা #ধার্মিক হৃদয়ে কোন রকম রেখাপাত ঘটেনি। তাদের সরল জবাব ছিল,“আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিল যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের #গর্ভবতী করে যেতে হবে।”“We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”

২। ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকিস্তানী মেজর তার বন্ধুকে #চিঠি লিখেছে;“আমাদের এসব উ-শৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো #মুসলিম এবং ভালো #পাকিস্তানী”“We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”(Tikka khan, one of the leading general of Pakistan on 1971.)

৩। একাত্তরের সেপ্টেম্বরে পূর্ব পাকিস্তানের সকল ডিভিশান কমান্ডারের কনফারেন্সে এক অফিসার তুলছিল পাকিস্তানী #সেনা কর্তৃক বাঙ্গালী নারীদের ধর্ষণের প্রসঙ্গ । #নিয়াজী তখন সেই অফিসারকে বলেন, “আমরা যুদ্ধের মধ্যে আছি। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে ধরে নিও।” তারপর তিনি হেসে বলেন, “ভালই তো এসব বাঙ্গালী রক্তে #পাঞ্জাবী রক্ত মিশিয়ে তাদের জাত #উন্নত করে দাও।”September 1971, in a conference of Pakistan army, an officer told to general Niazi about the mass rape done by the Pakistan army. General Niazi told to that officer-
“We are in war now, and in war it is normal”
Then he smiled and said-
“Isn’t it good?”এই ধর্ষণের পক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলতেন,-“আপনারা কি ভাবে আশা করেন একজন সৈন্য থাকবে, যুদ্ধ করবে, মারা যাবে পূর্ব পাকিস্তানে এবং যৌন ক্ষুধা মেঠাতে যাবে ঝিলমে(পতিতালয়ে)?”

৪।পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার আবদুল রহমান সিদ্দিকী তার East Pakistan The Endgame বইতে আরও লেখেন- “নিয়াজী জওয়ানদের অ-সৈনিকসুলভ, অনৈতিক এবং কামাসক্তিমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করতেন। ‘গত রাতে তোমার অর্জন কি শেরা (বাঘ)?’ চোখে শয়তানের দীপ্তি নিয়ে জিজ্ঞেস করতেন তিনি। অর্জন বলতে তিনি ধর্ষণকে বোঝাতেন।

৫।পাকিস্তানী #জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা “অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি” বইতে লিখেছেন, নিয়াজী ধর্ষণে তার সেনাদের এতই চাপ দিতেন যে তা সামলে উঠতে না পেরে এক বাঙালি সেনা অফিসার নিজে #আত্মহত্যা করেন। এখানেই শেষ নয়👇“বেগ সাহেবের জন্য ভালো মাল পাঠাবেন। রোজ অন্তত একটা।” মাল বলতে এখানে বাঙালী মেয়েদের কথা বলা হয়েছে।

৬।সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানী ক্যাম্পের দেয়ালে পাকি সৈন্যদের আঁকা ছবিটি দেখুন (Mastodon not allow more picture.)

৭।ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির গ্রন্থ “যুদ্ধ ও নারী”-তে উঠে আসে অনেক তথ্য যা পাঠকদের নিঃসন্দেহে আগ্রহ জোগাবে।
এক. “যুদ্ধ শেষে ক্যাম্প থেকে কয়েকটি কাঁচের জার উদ্ধার করা হয়,যার মধ্যে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল #মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ। অংশগুলো কাটা হয়ে ছিল খুব নিখুঁতভাবে।”- ডাঃ বিকাশ চক্রবর্তী, খুলনা।

দুই. এরপর তারা আমাদের সব মেয়েকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাইন করে দাঁড় করাল। আমাদের বাচ্চারা #চিৎকার, কান্নাকাটি করছিল। এই পরিস্থিতিতে আর্মিরা বলল, তাদের #প্রস্তাবে রাজি না হলে বাচ্চাদের পা ধরে ছিঁড়ে ফেলবে…।-জোহরা, ছাতনী (দত্তের বাগান), নাটোর।

তিন. #ধর্ষিতা মেয়েরা চিৎকার করে আমাদের বলতেন ‘আমরা তো মরে যাব, আপনারা যদি কেউ বেঁচে যান তাহলে আমাদের কথা আমাদের বাড়িতে গিয়ে বলবেন।’…

চার.পাকিদের নির্যাতনের ধরন ছিল বীভৎস। তারা মেয়েদের স্তন কেটে ফেলত, যৌনাঙ্গে রাইফেল ঢুকিয়ে #গুলি করত; এমনভাবে নির্যাতন করত যে সে প্রক্রিয়া আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারছি না, এসব আমি নিজের চোখে দেখেছি।-মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ, #ফরিদপুর

পাঁচ. পাকি বর্বরেরা প্রত্যেক মহিলাকে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাদের হত্যা করে। ধোপা যেভাবে কাপড় কাচে সেভাবে রেললাইনের ওপর মাথা আছড়ে, কখনও দু’পা ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে দু’টুকরা করে হত্যা করেছে শিশুদের। স্বাধীনতার অনেকদিন পরেও সেখানে মহিলাদের #কাপড়, ক্লিপ, চুল, চুলের খোঁপা ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখান থেকে আমি আমার ছোট বোনের ফ্রকের এক টুকরো কাপড় খুঁজে পাই।-বিনোদ কুমার, নীলফামারী।

ছয়. আমাদের পাশের বাড়ির একটি মেয়ে। সদ্য #মা হয়েছে, আট দিনের বাচ্চা কোলে। ঐ সময় সে বাচ্চাটিকে দুধ খাওয়াচ্ছিল। এমন সময় বাড়িতে আক্রমণ। ঘরে তখন কেউ ছিল না। এরপর যা হবার তাই হল, মেয়েটির উপর চলল অমানুষিক নির্যাতন। এরমধ্যেই দুপুর গড়িয়ে এল, পাকিরা খাবার খেতে চাইল। ঘরে কিছু না থাকায় ক্ষেত থেকে বেগুণ এনে দিতে বলল। ভীত মেয়েটি ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির আসতে দেরি হচ্ছিলো দেখে পাকিরা তার বাচ্চাকে গরম ভাতের হাঁড়িতে ছুঁড়ে দিয়ে ঘর থেকে নেমে গেল। -ভানু বেগম, ছাব্বিশা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল।

সাত. “মার্চে মিরপুরের একটি বাড়ি থেকে পরিবারের সবাইকে ধরে আনা হয় এবং কাপড় #খুলতে বলা হয়। তারা এতে রাজি না হলে বাবা ও ছেলেকে আদেশ করা হয় যথাক্রমে মেয়ে এবং মাকে ধর্ষণ করতে। এতেও রাজি না হলে প্রথমে বাবা এবং ছেলে কে টুকরো টুকরো করে #হত্যা করা হয় এবং মা মেয়ে দুজনকে দুজনের চুলের সাথে বেঁধে #উলঙ্গ অবস্থায় টানতে টানতে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।” -মোঃ নুরুল ইসলাম, বাটিয়ামারা কুমারখালি।

আট. “আমাদের সংস্থায় আসা ধর্ষিত নারীদের প্রায় সবারই ছিল ক্ষত-বিক্ষত যৌনাঙ্গ। বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ছিঁড়ে ফেলা রক্তাক্ত যোনিপথ, দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফেলা #স্তন, বেয়োনেট দিয়ে কেটে ফেলা স্তন-উরু এবং পশ্চাৎদেশে ছুরির আঘাত নিয়ে নারীরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসতো।”-মালেকা খান, যুদ্ধের পর পুনর্বাসন সংস্থায় ধর্ষিতাদের নিবন্ধীকরণে যুক্ত সমাজকর্মী।

নয়. “১৮ ডিসেম্বর #মিরপুরে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া একজনকে খুঁজতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে বাঙ্কার থেকে ২৩জুন সম্পূর্ণ উলঙ্গ, মাথা কামানো নারীকে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে পাক আর্মিরা।”-বিচারপতি এম এ সোবহান।

দশ. “ #যুদ্ধের পর পর ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বেশ কিছু নারীকে। তাদের পোশাক এবং চলাফেরা থেকে আমরা অনেকেই নিশ্চিত জানতাম ওরা যুদ্ধের শিকার এবং ওদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।”-ড. রতন লাল চক্রবর্তী, অধ্যাপক ইতিহাস বিভাগ ঢাকা #বিশ্ববিদ্যালয়

এগারো. “কোন কোন মেয়েকে পাকসেনারা এক রাতে ৮০ বারও ধর্ষণ করেছে।”-সুসান ব্রাউনি মিলার, গবেষক।

৮। খুলনার একটি #ক্যাম্প থেকে যখন কাচের জারে ফরমালিনে সংরক্ষিত ছিল মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যায় খুব নিখুঁতভাবে কাঁটা। যখন সিলেটের দেয়ালে ধর্ষকেরা সদম্ভে এঁকে রেখে যায় নিজেদের কৃতকর্ম, তখন বুঝে নিতে হয় এই #ধর্ষণ দু’একজন সামরিক কর্মকর্তার বিচ্ছিন্ন মনোরঞ্জন নয়। তখন বুঝতে হয় তারা এসব করেছিলো একটা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে, আর সেই এজেন্ডার কথা সৈয়দ সামসুল হক তার কালজয়ী নিষিদ্ধ #লোবান উপন্যাসে লিখেছেন সবচেয়ে সুন্দর করে।

৯।"আমি তোমায় সন্তান দিতে পারব। উত্তম বীজ উত্তম ফসল। তোমার সন্তান খাঁটি মুসলমান হবে, খোদার ওপর ইমান রাখবে, আন্তরিক পাকিস্তানী হবে, চাওনা সেই সন্তান? আমরা সেই সন্তান তোমাদের দেব, তোমাকে দেব, তোমার বোনকে দেব, তোমার মাকে দেব, যারা হিন্দু নয়, বিশ্বাসঘাতক নয়, অবাধ্য নয়, আন্দোলন করে না, শ্লোগান দেয় না, কমিউনিস্ট হয় না। জাতির এই খেদমত আমরা করতে এসেছি। তোমাদের রক্ত শুদ্ধ করে দিয়ে যাব, তোমাদের গর্ভে খাঁটি পাকিস্তানী রেখে যাব, ইসলামের নিশানা উড়িয়ে যাব। তোমরা কৃতজ্ঞ থাকবে, তোমরা আমাদের পথের দিকে তাকিয়ে থাকবে, তোমরা আমাদের সুললিত গান শোনাবে।”- নিষিদ্ধ লোবান, সৈয়দ শামসুল হক,সূত্র:জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা: অ্যা স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি

এই সব খণ্ড খণ্ড জবানবন্দী এই কথাই প্রমাণ করে যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্ষণ সাধারণ কোন যুদ্ধের ধর্ষণ নয়। শুধু ধর্ষণের জন্য বেয়নেট দিয়ে যোনি পথ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে হয় না, দাঁত দিয়ে স্তন ছিঁড়ে ফেলতে হয় না, দু দিক থেকে পা টেনে চিঁরে ফেলতে হয় না।
#পাকিস্তান #সরকার আজ পর্যন্ত ১৯৭১ সালের কর্মকান্ডের জন্য #ক্ষমা চেয়েছে?

হিটলারের কর্মকাণ্ডের জন্য #জার্মানি ক্ষমা চেয়েছে,জার্মানিতে হিটলারের স্যালুট দেবার পদ্ধতি এখন আইনত দন্ডনীয়।

কিন্তু পাকিস্তান গত ৫০ বছরে একবারও কেন ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশের কাছে?

কেন পাকিস্তান এখনো ১৯৭১ সালের গণহত্যার স্বীকৃতি দেয়নি?

কেন পাকিস্তানের পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ সালে বাঙালিদের উপর চালানো ও ধর্ষণের কথা অন্তর্ভুক্ত করেনি?

আর আপনার মায়ের যোনিতে কেউ ছুরি ঢুকিয়ে খুন করলে কি আপনি তাদের ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করতেন?

আপনার মায়ের স্তন কেউ টেনে ছিড়ে ফেললে তাকে ক্ষমা করতেন?

আপনার মায়ের পাছার মাংস কেউ ছুরি দিয়ে কাটলে তাকে ক্ষমা করতেন?

আমরা কখনো এই পাকি জাতি কে ক্ষমা করবো না।

#HatePakistaniPeople #HatePakistaniRaper
#FuckPakiPeople

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-05-08

উন্নত বিশ্বের #বিচারব্যবস্থা কেমন? বাংলাদেশে কি রকম বিচারব্যবস্থা চালু হলে আইনের #সুশাসন #প্রতিষ্ঠা হবে?

বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বিচারব্যবস্থার #তুলনা :

👉 ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর #বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসরঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষন করা হতো, এভাবে একশত ধর্ষন করার পর #বিশ্ববিদ্যালয়ে #মিষ্টি বিতরণ করে #উল্লাস করেছিলো #ক্ষমতাসীন

দলের #সোনার ছেলে "#জসিমউদদীন মানিক" এরও একটা বিচার হয়েছিলো, তবে #ফাঁসি হয় নি।

.

👉 দিবালোকে রামদা দিয়ে #রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজাকে কুপিয়ে তার মাথা কয়েকভাগ করে সিলেটের #বদরুল,

খাজিদার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে।

বদরুলেরও একটা #বিচার হয়েছে, তবে খুব বেশি হয় নি।

.

👉 ২০১৮ সালে #বগুড়ায় বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে

একসাথে ধর্ষন করে মাথা #নেড়ি করে দেয় #প্রভাবশালী তুফান, তুফানেরও একটা #বিচার হয়েছে, তবে #ফাঁসি

হয় নি।

.

👉#সংরক্ষিত এলাকা #কুমিল্লা #ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে #তনুকে #ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়, কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু #গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর #ধর্ষনকারী কেউ #গ্রেফতার হয় নি।

.

👉 ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর #সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে #ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়, ১৭ কোটি #মানুষ এর সাক্ষী,

#ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও,

#ফাঁসি কিন্তু হয় নি।

.

👉 কিছুদিন আগে ঢাকার এক #আবাসিক এলাকায়

৭ বছরের #শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে

#হত্যা করা হয়, #ধর্ষক আটক, তবে তারও কিন্তু #ফাঁসি হবে না।

.

👉 গত কয়েকবছর আগে দেখলাম ৩ বছরের শিশুর

যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়,

সেই ধর্ষকও গ্রেফতার হয়েছে, তবে #ফাঁসি কিন্তু হয় নি।

.

👉 এভাবে আরো কতো #ধর্ষণ হচ্ছে মা বোনেরা তার হিসাব রাখে কে? ধর্ষকরা #জেলে যায় ঠিকই,

কিন্তু #ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আবার বেরিয়ে আসে।

.

👉 আমরা ধর্ষকের #ফাঁসি চাই সবাই, কিন্তু দেশে কি সেই আইন আছে?

ধর্ষকের #শাস্তি জনসম্মুখে #মৃত্যুদন্ড মাত্র তিন চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষনতো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তোলে তাকানোর সাহস পাবে না কোন #কুলাঙ্গার

{ধর্ষনের সাজা}

👉 #আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষনের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড ।

👉 #রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড।

👉 #চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদন্ড ।

👉 #পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদন্ড ।

👉 #মধ্যপ্রাচ্য আরব দুনিয়া: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু, ফাঁসি, হাত পা কাটা, যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া ।

👉 #সৌদি আরব: শুক্রবার জুম্মা শেষে জনসম্মক্ষে শিরচ্ছেদ!

👉 #দক্ষিন আফ্রিকা: ২০ বছরের কারাদন্ড।

👉 #মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রতিশোধ পুরণ ।

👉 #নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা ।

👉 #আফগানিস্তান: ৪ দিনের ভিতর গুলি করে হত্যা ।

👉 #মালয়শিয়া: মৃত্যুদন্ড।

👉 #বাংলাদেশে:👇

-: প্রতিবাদ🙌

-: ধর্না😉

-: তদন্ত😉

-: কয়েকসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন

-: সমঝোতার চেষ্টা😉

-: #ঘুষ দেওয়া😛

-: প্রভাবশালীদের লোক 😉

-: ধমক-চমক 😛

-: মেয়েটির চরিত্র নিয়ে গবেষণা😰

-: #বোরকা পরে ছিলো কি না?😰

-: সংবাদমাধ্যমে আলোচনার আসর😒

-: রাজনীতি করন😡

-: জাতি নির্ধারণ😡

-: জামিন😡

-ফের ধর্ষন😯😱

-:মেয়েটির #আত্মহত্যা 😭

হুম এটাই আমাদের বাংলাদেশ বিচারব্যবস্থা 😪😪😪

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

Bangladesh :verified:​Bangladesh@qoto.org
2023-05-08

আজ আমার থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় স্থান হয়নি এমন এক #বীর যিনি উপমহাদেশে #ব্রিটিশ #শাসনের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিলো তার সম্পর্কে জানতে পারেন।

ভারতের #ইতিহাসে #শের #আলিই একমাত্র ব্যক্তি যিনিই #ভারতের #গভর্নর #জেনারেলকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গভর্নর-জেনারেলকে হত্যার সময় #সাবেক #ব্রিটিশ এই #কর্মচারী হত্যার জন্য দণ্ডিত হিসাবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বন্দী ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে #পারিবারিক কলহের জেরে পেশোয়ারে হায়দার নামে তার এক আত্মীয়কে হত্যা করার অভিযোগ উঠে এবং ১৮৬৭ সালের ২ই এপ্রিল মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তিনি নিজেকে #নির্দোষ দাবি করে আপিল করেন এবং আপিলে বিচারক কর্নেল পোলেক তার সাজা কমিয়ে #শাস্তি হিসেবে #যাবজ্জীবন #কারাদন্ড দিয়ে কালা পানি বা আন্দামান ও নিকোবর #দ্বীপপুঞ্জে প্রেরণ করেন।

দিনটি ছিলো ৮ই ফেব্রুয়ারী, ১৮৭২।
খবর হয় তৎকালীন লর্ড গভর্নর-#জেনারেল #মেয়ো #হ্যারিয়েট কালা পানি দ্বীপের সানসেট পয়েন্টে #সূর্যাস্ত দেখতে আসবেন।
#শের #আলী বিশ্বাস করতেন দেশের জন্য #বড়লাটকে হত্যা করাটা স্বয়ং ঈমানী দায়িত্ব দ্বারা নির্দেশিত। তাই শের আলি গোটা দিন অপেক্ষা করে থাকেন একটি সুযোগের, এবং সন্ধ্যের দিকে সুযোগ পেয়েও যান।

#লর্ড #মেয়ো সেসময় #দেহরক্ষী বেষ্টিত থাকলেও তার উপর অতর্কিতে #ছুরিকাঘাত করেন শের আলি। যদিও তিনি দুজন সাহেবকে #হত্যা করতে চেয়েছিলেন, একজন সুপারিন্ডেন্টন্ট ও অন্যজন লর্ড মেয়ো।

তার এই হত্যা, #ব্রিটেন তথা ভারতের ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি নাড়িয়ে দেয়।

ফলস্বরূপ ভাইসরয় কে হত্যার বিচারে শের আলির #মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয় এবং আন্দামানের ভাইপার দ্বীপে ১৮৭৩ সালের ১১ মার্চ #ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।

অথচ এই #বীরের #বীরত্বগাথা #ইতিহাস আজ পর্যন্ত কোন পাঠ্য বই কিংবা কোথাও লেখা নেই। উনার #ভারতবর্ষের এই অবদান #ইতিহাস থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে অনেকটা।

একজন গভর্নর-জেনারেলকে হত্যা করে শের আলি ব্রিটিশ #সাম্রাজ্যকে যে #স্বাধীনতার আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তা #ইতিহাস এবং আমাদের কাছ থেকে অনেক আগেই হারিয়ে গেছে।

হয়তো ইতিহাসে এই বীরের নাম #স্বর্ণাক্ষরে #খোদাইকৃত নয় আমাদের দেশে, #ব্রিটিশ #বিরোধী #আন্দোলনের অন্যান্য #অবদানকারীদের সাথে তার #নাম বহুল উচ্চারিত নয়, আমরা তার অবদান জানি না, তাই বলে আমাদের জন্য তার #অবদান কম হয়ে যাবে না। কারণ বীরের বীরত্বের কোনো ম্লানতা নেই।

@bengali_convo
@masindia

নিচের হ্যাস ট্যাগ গুলো ব্যবহার করুন:
#Bangladesh #Bangla #Bengali #Dhaka #Bangladeshi #Kolkata
#বাংলাদেশ #বাংলা #বাঙালী #ঢাকা #বাংলাদেশী #কলকাতা

শহীদ বীর শের আলি আফ্রিদিশহীদ বীর শের আলি আফ্রিদি

Client Info

Server: https://mastodon.social
Version: 2025.07
Repository: https://github.com/cyevgeniy/lmst